অপূর্ণ ড্রিম
প্রত্যেকদিন বিকেলে আমার ঘুমোবার
অভ্যাস। অন্তুত ১ ঘণ্টা হলেও ঘুমাতে হয়। তাই প্রতিদিনের নিয়ম
অনুযায়ী এবারো কোনো পরিবর্তন
হয় নি। ঘুম থেকে
উঠে প্রথমেই
অচেনা এক মেহমান দেখতে পেলাম।কিছু বিস্ময়ের ভাব নিয়ে অনার কাছ থেকে এরিয়ে অন্যত্র চলে গেছি.....
পরে আম্মুর কাছ থেকে জানতে পারলাম ঐ মেহমানটি আমাদের এক
আত্মীয় হয়। সে যাই হোক,ঐ মেহমানটি ছিলো এক অর্ধ বয়সী
মেয়ে....এতোটাই অর্ধবয়সী ছিলো
যে,মনে হয় মেয়েটি নেহাত শিশু।
প্রথমে দেখেই আমার
মনে একটু সাঁড়া দিতে লাগলো।একটু সাময়িক
চিন্তার মধ্যে মেয়েটি যেনো আমায় প্রধান
হয়ে উঠলো। প্রথম দেখাতেই যেনো মেয়েটির সাথে কথা বলে
আসি।এমনটা ভেবেই মনে এক অস্থিরতা ভাব নিয়ে এপার উপার
ছুটতে লাগলাম।ইশশ...!
অর সাথে যদি
একটু কথা বলতে পারতাম,অন্তত
মনের অস্থিরতা ছুটছি।মন
যেনো কিছুতেই সায় দিচ্ছে না। এমন
সময় তার সাথে কথা
বলার অভিপ্রায় নিয়ে সামনে পা বাড়িয়েছি।
কিন্তু যথেষ্ট সাহস আর মনোবলের
অভাবে এগুতে পারলাম
না।সবশেষে মেয়েটিয়ে আমাকে বললো,
-ভাই,তুমাকে একটা
কথা বলি?
-জ্বি বলতে পারেন।
-আপনে এমন কেন?(প্রথমে
তুমি তাঁরপর আপনে)
-ক্যামন আমি?
-এই যে,আমার সাথে কথা না বলে এখানে চুপ-চ্যাপ
বসে আছেন।
-আমি আপনার সম্পর্কে আম্মুর কাস থেকে জানতে পেরেছি। আপনে
আমাদের আত্মীয় হোন।
-এতটুকুই?
-জ্বি। (একটু কথা বালার সুযোগ পেলাম) তাঁরপর আমি বললাম, আচ্ছা
তুমি কি অমুকের অনুষ্ঠানে গিয়েছো।
-না,এই ফাষ্ট নাম
শুনছি।তাঁরপর,অনেক্ষণ
গল্প করার পর মেয়েটির সাথে অনেক ফ্রি
হয়ে গেলাম। সব কিছু যেনো স্বাভাবিক হয়ে গেলো। প্রথম
দেখাতেই মনে হয়
অর কাছ থেকে
এখুনি নাম্বার টা
নিয়া নিয়ে।কিন্ত কীভাবে নিবো?
অর সাথে তো
পরিচয়ও হয় নাই।
হুট করে তো
নাম্বারটা চাওয়া যায় না।এছাড়া
মেয়েটি ও আমাকে চিনে না,জানে না,বুঝে না।কেন আমাকে অর পার্সোনাল নাম্বারটা দিবে.....?
তখন নানান প্রশ্নের মাঝে চিন্তায় নত।কিন্তু
এখন অর কাছে নাম্বারটা চাইতে নিশ্চয় অসুবিধা হবে না।এই ফাস্ট কোনো মেয়ের নাম্বার চাওয়ার
ভঙ্গিতে গেলাম।এবং তার
পার্সোনাল নাম্বারটা চাইলাম।তাঁরপর মেয়েটি কিছু একটা বলতে না
বলতেই হঠাৎ আমার
জেঠি এসে আমার বিকেলের ঘুমটা ভেঙ্গে দিলো!!
No comments