Header Ads

Header ADS

Ragging

About Ragging :
তাং ঃ ২০/১২/১৮
অন্তু এইবার উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছে।শৈশব  কাল থেকেই বড় হওয়ার  স্বপ্ন, তার পাশাপাশি  সমাজ সেবার নিয়োজিত  হতে চায়।তার জন্য চাই কাংখিত  উচ্চশিক্ষা আর জীবন্ত স্বপ্ন।
উচ্চমাধ্যমিক  পড়াকালে  পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার জন্য বিভিন্ন  বিজ্ঞাপন /পোস্টার দেখতে পায়।এর আগে "বিশ্ববিদ্যালয়" নামটির সাথে খুব কম-ই পরিচিতি  ছিলো।তাই ৮-১০ টি স্টুডেন্ট এর মত সেও স্বপ্ন দেখতে শুরু করলো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার জন্যে।শুরু হয়ে গেলো ভর্তি যুদ্ধ,ইতিমধ্যে  কয়েকদিনের মধ্যেই তার উচ্চমাধ্যমিক এর ফলাফল  দিবে,মনে হলো এইতো কিছু দিন আগেই তো আমি রোজ স্কুলে যেতাম।আর এখন স্কুল লাইফ শেষ করার পর কলেজ লাইফ শেষ হয়েছে।নিজের কাছে মনে হয় আমি নেহাত বাচ্চা একটা ছেলে,শুধু নিজের কাছেই নয় গত পরশু দিনই আমাকে আমার এক রিলেটিভ  বলছে তুমি কি এই বার
মাধ্যমিক দিবা?

ইতিমধ্যে অন্তুর উচ্চমাধ্যমিক এর ফলাফল  প্রকাশিত হয়েছে,ফলাফল ও আশানুরুপ হয়েছে,দুটো মিলে 9.75 যা ভর্তি পরিক্ষার  জন্য যথেষ্ট।অন্তু ব্যাকগ্রাউন্ড  মানবিক (Arts) হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স  পাওয়ার জন্যে সাধারণ  জ্ঞান প্রচুর পড়তে হয়েছে।অন্তুর বাবার তেমন জমি -জামা  নেই, তার চাচার ৮বিগা জমিতে কৃষিকাজ করেই সংসার  চালায়।
অবশেষে অন্তু একটি পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলো,সে শুধু একটিই বিশ্ববিদ্যালয়েই আবেদন  করেছে।স্বপ্নের পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়!!!এ যেনো এক বাধ ভাংগা হাসির জোয়ার।কখনো ভাবে নি সে পাব্লিকে পড়বে।কলেজ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র  তুলে রওনা দিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্তব্যে, আজই কাগজ পত্র জমা দেওয়ায় লাস্ট ডেট।গত পরশু দিন বিকাশে টাকা দেওয়া হয়েছে।
কাগজ পত্র জমা দেওয়া শেষ।এমন সময়ে ফ্যাকাল্টির নিচে কয়েকজনকে বাদাম খেতে দেখা যায়,একে অপরে বাদাম ছুড়ে মারে,সময় এখন ২টা বেজে 38 মিনিট, সাথে একটা গরজিয়াস আপুর চোখে পড়া  বাম পাশের চুল গুলোকে পেছনে সরাচ্ছে।
হঠাৎ, আমাকে দেখে ডাক দিয়ে কাছে আনলো,এমন সময়ে আমার হাতের ফাইল্টিকে বাম হাত থেকে ডান হাতে রাখলাম।আপুটি চোখে বিস্ময়ের ভাব দেখে ক্লাস ওয়ানের বাচ্চারাও রীতি মত অবাক হবে!
আমার ডানে বামে কাওকেই দেখতে পাচ্ছি না।ওদের মধ্যে একজনকে সিগারেট খাওয়া লোকটিকে আমার দিকে এগিয়ে আসতে থাকলো,প্রথমে কিছুই বুজে ওঠতে পারছি না,পরে জলিল নামে এক বড় ভাই আমার সম্পর্কে জানতে চাইলো।
জলিলঃকি নাম তোর?
অন্তুঃআশ্রাফুজ্জামান অন্তু।
বিউটি আপুঃ এই ভাই কে চিনো? সালাম দিছো ভাইকে?(ভ্যানিটি ব্যাগটি ঠিক করে বড় ভাইয়ের দিকে এগিয়ে গেলো)
দেখছো কান্ডটা!!!
মাথায় হেডফোন ওয়ালা আরেক বড় ভাই এগিয়ে এসে এসে বল্লো,
-কোথায় থেকে আসছস?
-ওমকজায়গা থেকে!
- ও আচ্ছা তোরা ওইখানের মানুষ এমনি,
সিগারেট  খাওয়া লোকটি এসে বললো
তোর শার্ট এর বোতাম খো-খো খোলা কেন?
(কিঞ্চিৎ  হেসে) কই ভাইয়া এইটাতো সবসময়ই  খোলা থাকে।
-তুই হাসলি কেন?এইটাকি হাসার জায়গা?আমি কি জোকার?
-সরি ভাইয়া!!!
আরেক বড় ভাই এসে বললো,
-সরি'র  মিনিং কি?
-আমি বললাম দঃখিত,
কই,তোর চেহারা তো বলতেছে তুই এখোনো হাসতেছস।
-আচ্ছা শোন,তুই তো এই বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়তে আইছস তাই না?
-জ্বী ভাই,
-আচ্ছা বলতো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য কে ছিলেন?
-অধ্যাপক ডঃ...........
-স্যারের নামটাই ঠিক করে বলতে পারস নাই,কি ছাত্র হইছস?প্রক্সি মেরে চান্স পাইছস নাকি?
-গান পারস?
সরি ভাইয়া,গান পারি না।
-তাহলে একটা গান গাইয়ে শোনা।
-ভাইয়া আমি তো গান পারি না!
-আচ্ছা তাহলে শোন,ওই যে নীল শাড়ি পড়ুয়া আপুটাকে দেখছস?
-জ্বি
-ওই আপুটাকে প্রপোজ কর।
-আমি কেনো প্রপোজ করবো?
-তুকে করতে বলছি তাই!
-তোর শারটের বোতাম খুলে আপুটাকে প্রপোজ করে আয়।যা,এই নে সাথে এই গোলাপ ফুলটা দিবি।
-ভাইয়া আপুকে আমার পছন্দ হয় নাই,
-তাহলে কাকে পছন্দ হয়,ওইযে এই আপুটা কে??
-সরি ভাইয়া,কাওকে না,
-আরেক বড় ভাই এগিয়ে আসলো(কানে দুল পড়া,হাতে একটা স্টিলের চুড়ি)
-শোন,কোন ডিপার্টমেন্টে ভরতি হইছস তুই।
-ভাইয়া ওমোক ডিপার্টমেন্টে
-আচ্ছা এই ডিপার্টমেন্ট এ ভরতি হইছস কেন!এইটাতো অনেক বাজে ডিপার্টমেন্ট।ফাস্ট চোজ কি দিছস?
-ভাইয়া এইটা,তারপর ওইটা,তারপর......
-তুই আ- আ আমাগোর ডিপার্টমেন্ট সেকেন্ড চোজ দিসস কেন? এইটা খারাপ ডিপার্টমেন্ট,?
-ভাইয়া সব ডিপার্টমেন্ট ই ভালো,যে যেইটা নিয়া ক্যারিয়ার গড়তে চায়,তাকে সেটা নিয়া পড়া উচিৎ।
-তোর সাহস তো কম না,তুই জামালকে জ্ঞান দিতাছস?
আমরা কি মূর্খ?কথা তো ভালই শিখছস!
-(সিগারেট খাওয়া ভাইটি সিগারেট টান দেওয়ার সময় হাল্কা কেশে বল্লো) কোন কলেজ থেকে আইছস?
-ভাইয়া ওমক কলেজ থেকে
-ওহ আচ্ছা,তাহলে বলতো প্রতিষ্ঠা কালিন সময়ে কলেজের ইতিহাস কি ছিলো।
-ঠিক আমার জানা নেই।
-(আপুটি রেগে বল্লো)কি শিখাইছে তোদের কলেজে?কলেজের ইতিহাস  পর্যন্ত জানস না।
-পাশের ভাইটি কানে কানে আপুকে বল্লো, সিয়ার কল দিছে,ক্লাস হচ্ছে,এই কথার শোনার সাথে সাথে অন্তুকে বললো,
-শোন, আজ তুই যে কাজ গুলা করতে পারস নাই সেগুলা কাল আমাদের কে করে দেখাবি।
এই কথা শোনার পর অন্তু নিরাশ হয়ে গ্রামের দিকে হাটতে  থাকলো....
To be continued...
written by:Md.Golam Samdani
Dept.of MKT,CoU.

No comments

Theme images by compassandcamera. Powered by Blogger.