Header Ads

Header ADS

'আগুন্তুক'


অপরিচিতা।
'আগুন্তুক'
পর্ব ২য় <3
প্রকাশকালঃ ১৯/১১/১৯

অত:পর, সে বিব্রত সরূপ আমার দিকে তাকিয়ে রইলো, এবং তার বাম হাত টা বাড়িয়ে বললো এখন কয়টা বাঝে?কিছুক্ষণের জন্য আমি চুপ রইলাম এবং একপানে তাকিয়ে রইলাম তার ব্রেসলেটে, অবশ্য গত কাল মিট করার সময় ফেরিওয়ালার দোকান থেকে এই ব্রেসলেটটি উপহার দিয়েছিলাম,আজ সেই ব্রেসলেটটি পড়ে আছসে।
সে আবার উচ্চস্বরে বললো,''এখন কয়টা বাঝে?এখন সময় হয়েছে আসার তোমার???এখন তো নানা এক্সকিউজ দেখাবে, আমার আসতে দেরি হয়ে গেছে,রাস্তা জেম ছিলো,গাড়ি পাচ্ছি না, তাই হেটে আসছি আরো নানান অজুহাত।আচ্ছা বলো তো আমাদের রিলেশন আজ কত বছর হয়েছে?
-দিন হিসাব করবো? নাকি বছর?
-ঘন্টা হিসাব করো।
-আচ্ছা আমাকে একটু ভাবতে দাও।
-তোমার আর ভাবা লাগবে না।আমাদের রিলেশের সময়সীমা হচ্ছে.....
আমি ওর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।যাই হোক ওর কাছে হার মানতেই হবে।
সামনের লেকের পাশেই ''মামা ঝালমুড়ি''।মামা ঝালমুড়ি কাউপেলদের জন্য বিখ্যাত,কেননা এখানে পরিবেশন হতে সেলফি যোন, আচার-আচারণ খুবই সুন্দর।শুধু তাই নয় খাওয়ার পরিশেষে শুভেচ্ছা স্বরুপ হিসেবে একটা গোলাপ ফুল দেওয়া হয়।তাই এখানে ''মামা ঝালমুড়ি '' সম্প্রতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
''মামা ঝালমুড়ি'' খাওয়ার পর একটা পথ শিশু কয়েকটা ফুলের তোড়া নিয়ে বললো,
-''স্যার আপনাদের ফুল লাগবে''?
-কিভাবে বিক্রি করো?
-স্যার, একটা গোলাপ ফুল নিলে ৩০ টাকা,আর ২ টা নিলে ৫০ টাকা।
-আর যদি সব গুলা নিই?
-কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বললো, ''৫০০ টাকা ''
-এই নাও ৫০০ টাকা,আচ্ছা ফুল বিক্রি করে তুমি কত টাকা পাও?
-স্যার, দিন শেষে ৪০০-৪৫০ টাকা।
এখন এই টাকা দিয়ে কি ফুল কিনে আনবে?
-হ স্যার, ওই যে শান্তি মোরে আমার বাবা ফুল বেচে।ওইখান থাইকা এনে এই লেকে বিক্রি করি।
-আচ্ছা এইবার থেকে প্রত্যেক শুক্রবারে প্রথমে আমার কাছে বিক্রি করবে,অকে?
- ওকে স্যার।

ফুলের বিনিময়ে কিছুটা হলেও ওর রাগ ভাংছে।চুলের সুগন্ধি বেলিফুলে দোল খায় চারদিকে।হাতে ফুলের তোড়া মাথায় বেলিফুলের সৌন্দর্যের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় বহুগুনে।
আকাশটা কালো হয়ে আসছে,শীঘ্রই বৃষ্টি হতে পারে।পার্কের ঠিক পশ্চিম লেকে একটি বিশাল বট গাছ আছে।সেই বট তলায় একটি কফি পাওয়া যায়।কফিতে চুমক দিয়ে লেকের ধারে বসে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতেছি।এমন সময় কালো মেঘের ছায়া লেকের প্রাকৃতিক দৃশ্য উলটে গেলো।শীঘ্রই আমাদের ফিরতে হবে।তাই তাড়াতাড়ি করে কফি খেয়ে শেষ করলাম।নীল-সবুজ শাড়ি পড়ুয়া যে কোনো মেয়েকে দূর থেকে সবার আগে চেনা যাবে,তাই ওর ক্ষেত্রেও তেমন ব্যতিক্রম ঘটেনি।লেকে হাটার সময় ওর নীল-সবুজ শাড়িটা স্বচ্ছ লেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।যেনো কেও জীবন্ত জল রঙ পানিতে একে রাখছে।

লিখাঃ মোঃগোলাম সামদানী।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=2483881278560975&id=100008173811582

No comments

Theme images by compassandcamera. Powered by Blogger.